সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ভৈরবে অবৈধ দখলে থাকা খাল-বিল পুনরুদ্ধারে খনন শুরু 

ভৈরব (কিশোররগঞ্জ) প্রতিনিধি 

ভৈরবে অবৈধ দখলে থাকা খাল-বিল পুনরুদ্ধারে খনন শুরু 

কিশোরগঞ্জরে ভৈরবে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে খাল-বিল দখল করে গড়ে তুলেছে স্থাপনা। এর ফলে খাল-বিলগুলো অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। খালগুলো খননের মাধ্যমে পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

তবে খাল খনন করতে গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের বাঁধার মুখে পড়ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে সরকারি খাল খননে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। তাই তাদের জমি যেন কেটে নষ্ট করা না হয় সেজন্য তারা লিখিত অভিযোগ করেছে প্রশাসনের কাছে। 

স্থানীয় প্রশাসন বলছে সরকারি সিএস নকসা অনুযায়ী খাল খনন করে হারিয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

ভৈরবে গত ০২ মাস ধরে কৃষি কাজের সুবিধা জলাশয়ের সৃষ্টি ও পয়নিষ্কাশন, নদী, খাল বিলের নাব্যতা রক্ষা, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি এবং পানি সংরক্ষণ ও জলা-বদ্ধতা দূরীকরণে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৩০ কিলোমিটার খালবিল পুনঃখননের প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। খালবিল পনঃখনন কাজ চলমানের অংশ হিসেবে পৌর এলাকায় চন্ডিবের ও কালিপুর গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সুতীর বিল খাল, আগানগর বাইদ্দার বিলসহ ৪টি খাল-বিল পুনঃখনন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
 
তাছাড়া খনন কাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি ব্যক্তিগত মালিকানা কোন জমি কাটা হয়নি। সিএস নকশা অনুযায়ী খাল-বিল খনন করে অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৩০ ভাগ কাজ শেষ হলে খাল-বিলে পানি প্রবাহ দৃশ্যমান হবে। 

এতে জনগণের কৃষি কাজসহ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সুবিধা হবে। সরকার অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া খাল-বিল উদ্ধারসহ পুনঃখননে অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। 

পানি উন্নয়নের বোর্ডের ঠিকাদার আবির রহমান জানান, প্রশাসনের সিএস নকশা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ মোতাবেক নিয়ম মেনে খাল খনন করছেন তারা, কাজ বন্ধ হলে এলাকাবাসী ক্ষতির মুখে পড়বে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ অনেক জায়গায় খালবিল ভূমিদস্যুরা দখল করে রেখেছে। এর ফলে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধাতা এবং পয়ঃনিষ্কাশনে দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসির ।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, সরকারি সিএসভূক্ত নকশা অনুযায়ী খাল খননের কাজ করা হচ্ছে। তবে কোন কৃষকের মালিকানাধীন জমি কেটে থাকলে তা আমরা খতিয়ে দেখব। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রমজান আলী প্রমাণিক বলেন, সরকারি জায়গা যে কেউই হোক না কেন, যত প্রভাবশালীই হোক সরকারি জায়গা আমরা উদ্ধার করব এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের খাল খননের কাজ চলমান থাকবে। 

টিএইচ